বলিউডের অনেক নায়িকা স্বামী-সংসার নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেও সমানতালে অভিনয় করে যাচ্ছেন। কিন্তু টাবু? মেঘে মেঘে অনেক বেলা হলো। বয়স বসে নেই। ৪৬ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো বিয়ে করেননি। কেন? এ জন্য কি কোনো আফসোস আছে তাঁর? গতকাল শুক্রবার নয়াদিল্লিতে জাগরণ ফিল ফেস্টিভ্যালে (জেএফএফ) টাবুকে এ প্রশ্নই করে বসেন এক দর্শক। ‘চিস’, ‘চাঁদনি বার’, ‘হু তু তু’, ‘বারাসাত’, ‘অস্তিত্ব’, ‘মীনাক্ষী’, ‘চিনি কম’, ‘সাজায়ে কালাপানি’, ‘দ্য নেমসেক’ ছবিগুলোয় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করা টাবু প্রশ্নটিকে স্বাভাবিকভাবেই নেন। জবাবে বলেন, বিয়ে না করা নিয়ে কোনো আফসোস তাঁর নেই।
এখনো কি একাই আছেন? টাবু বলেন, ‘বরাবরেই মতোই একা…পরের প্রশ্ন করেন।’ একা থাকার কোনা মুহূর্তটি সেরা? এ প্রশ্নের উত্তর দিতেও দ্বিতীয়বার ভাবেননি টাবু। বলেন, একা থাকার প্রতিটি মুহূর্তই তাঁর কাছে সেরা। কেননা, বিবাহিত জীবনের দিকটি তিনি জানেন না। তাই দুটোর মধ্যে পার্থক্য বলা সম্ভব না। টাবু বলেন, ‘যখন ওই অভিজ্ঞতা হবে, তখন বুঝতে পারব কোনটি সেরা। আমি বিয়ে করিনি বলেই তা ভালো না খারাপ বলতে পারব না।’
কখনো কি বিয়ের কথা ভাবেন? টাবু বলেন, এই একটি প্রশ্নের উত্তর তাঁর কাছে নেই।
এক ঘণ্টার কথোপকথনে তাঁর চলচ্চিত্রজীবনের যাত্রা ও জীবনের অন্যতম কাজগুলোর কথা উঠে আসে। ‘চিনি কম’ ছবির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে টাবু বলেন, তাঁর বাস্তব জীবনের কাছাকাছি চরিত্র ছিল তা। কিন্তু বাস্তব জীবনে এমনটা ঘটেনি। ওই ছবিতে ৩৪ বছর বয়সী সফটওয়্যার প্রকৌশলীর চরিত্রে অভিনয় করেন টাবু। তাঁকে ৬৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমে পড়তে দেখা যায়।
বিয়ে বিষয়টিকে বরাবরই এড়িয়ে গেছেন বলিউডের এ অভিনেত্রী। কিন্তু কেন? টাবু এর আগে বলেছিলেন, ‘আরে বাবা, বিয়ের জন্য এমন নয় যে, কোনো সুদর্শন, লম্বা-চওড়া, ধনী পাত্র পাইনি। কিন্তু আমার কাছে বিয়ের সংজ্ঞাটাই যে অন্য রকম। আমাকে একজন পুরুষ কতটুকু বুঝতে পারবে, আমি তাকে কতটুকু বুঝতে পারব, আমার পাগলামো, আমার চাওয়া-পাওয়াকে সত্যিকার অর্থেই সে শ্রদ্ধা করবে কি না—এসব গুণই আমি একজন জীবনসঙ্গীর মধ্যে খুঁজি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, মেয়ের তুলনায় আমার ছেলেবন্ধু বেশি হলেও এখনো “জীবনসঙ্গী” করা যেতে পারে, তেমন কাউকে খুঁজে পাইনি। অবশ্য আমার মধ্যে তাড়াও নেই।’